রোজ রোজ সকাল হলেও
কেউ কেউই দেখতে পায়।
অলস কুঁড়ের দল বরাবরই
দেরী করে ওঠে তাই
সূর্য ওঠা ভোরের সৌন্দর্য
দেখতে পায় না বলে
রাগ করে খুব, কখনো বা
চোখ ভরে যায় জলে,
আমিও কত বার ঘুমিয়ে
মাটি করেছি কত কি!
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ,ভগবান
বুদ্ধের গৃহত্যাগ, ক্লাইভের চালাকি
অঞ্জনা নদীর তীরে সবুজ ঘাস ছেড়ে
গেরস্থে ফিরে গেছে দেশি ঝাঁচি গাই।
যুবতী কৃষাণীর পথের পানে চেয়ে
বাঁশিতে ফুঁ দিত রাখাল বলাই ।
সময়ের পরতে পরতে –এ দুর্বোধ্য
অঙ্ক কষাই থাকে।জানে না স্বয়ং কসাই
কোন অঙ্কে কে নেবে বিদায়,কে আয়াসে খায়
তবুও বুড়ো বিড়ি টেনে করে বড়াই।
হাতে অস্ত্র ঝনঝনায়,মন আরো কিছুটা
সময় চায়, শাদা পাতা জমা দিলে
নির্ঘাত কপালে কষ্ট আছে ভাবে।
চোখ মুছে ভুল খুঁজতে গিয়ে খাজুরাহ গেলে
সুড়সড় করে কত জল গড়ায় খড়ের চালে
আওয়াজ হয় না অত যতটা ছাতাহীন পথিক
বিজন পথে কিম্বা মাঝ নদীতে বালি ঝাপটালে
অসহায় জন্তুর মত হারায় নিশানা সঠিক।
রান্নাঘরের চালে কখন বাঁদর বসে
জানে না সব জান্তা বুড়ি পিসি।
পাড়া মাথায় সার হয় তার
ঝুলি থেকে দামী সব্জি আজ নিয়েছে বেশী।
কম -বেশি, বেশি আর কম
হরদম এই তেঁতো কথা আসে কানে
মিষ্টি স্বাদের মনগড়া কথা
বলার ফুরসত আর কতটা পাব এখানে।
অনন্তের অফুরান ডাক
আসলে কে কখন জানবে।
জানতে পারবো না আমি
বন্ধু তোমরা সেদিন মানবে।
এক সূর্য বার বার নিত্য যে আকাশ রাঙায়
ভাটির টানে একদিন সবকিছু হঠাৎই হারায় ।