যখন সময় থমকে দাঁড়ায়, কোলাহল থেকে দূরে,
না বলা কথার বদ্বীপেরা ভয়ঙ্করভাবে বিচ্ছিন্ন,
পৃথিবীর প্রান্তে কোন এক কুমেরুতে ঘুমন্ত…
জাগিও না তাকে, আগ্নেয়গিরির অস্থিরতায়
কোরো না নিক্ষিপ্ত, আ….ভীষণরকম অস্থিরতা
খেলা করে,- কিছু কথা থেকে যায় একান্ত আপন,
অনুগত, ফসিলের ঘুমে, কি দরকার তাকে
মুখরিত, আলোকিত, সকলের হাটে বিকোবার,
তার থেকে এসো সেই কথার শোকের নীরবতা
পালন করি-মিনিট খানেকের নয়, আজীবনের,
আবশ্যিক ভাবেই কথাগুলো হয় ভালবাসাকেন্দ্রিক
সকলের ভাবনায়, ভেবে নাও যার যা খুশি
ভাবনার নদী বয়ে যাক, তখন শুধিও সাগরের কাছে,
সেই মস্ত গর্জনে জবাব দেবে, যত ফেলাছড়া প্রশ্নের,
তখন উত্তর খুঁজো ঝিনুকের কাছে-“হ্যাঁ রে-তোর
পেটে কি ভালোবাসার মুক্তো আছে?”
দেখো সেও কেমন এড়িয়ে যায়, লুকিয়ে রাখে খোলকে
তোমাদের যত আঁকাবাঁকা প্রশ্নের উত্তর,
এভাবে যেও আকাশের কাছে, অমনি সে মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে ফেলবে তার সব কথা, না হলে বৃষ্টি নামিয়ে
বলবে-“এই নাও তোমার কথার উত্তর।”
তবে আজ থাক “না বলা কথারা”-ঘুমপরীর ঘুমে।