সুখ কোথায় ?
সাদাকালো ছেড়ে রঙ্গিন অসু
আমরা ছেড়ে আমি ভাবনা
মাটি ছেড়ে দালানকোঠা
আপন ছেড়ে নিজ ধ্যান
পরিতুষ্টি ছেড়ে অসন্তোষ আর অসীম চাহিদা,
স্রষ্টা ছেড়ে সৃষ্টির আরাধনা
সেরা হয়েও হীনতর কার্য
সুখের জন্যে এতকিছু
সময় নেই তাকানো পিছু
তবুও সুখ কোথায়?
যদি সাদাকালোর চেয়ে রঙ্গিন অসু,
মাটির চেয়ে দালানকোঠা
আমরা হতে আমি
স্রষ্টা থেকে সৃষ্টি
কল্যাণকামী হয়!
তবে এত অশান্তি আর অস্থিরতা কেন?
কেন এত চাই চাই?
কোথায় সুখ?
তবে কি এতসবের কোনটিই সুখের অদূরে নয়?
প্রতীক্ষা
দিন রাতের আবর্তে মসৃণতা আর দুঃসহ পোরা,
হৃদয় নিঙ্গড়ানো অতৃপ্তি আর অচেনা জল্পনা,
নিলুপ্ততা, অপটুতা, নির্জনতা, চটুলতা
বহুদূর ফেলে,অজানার পথে তৃপ্ত শ্বাস,
চিত্তের নিগূঢ়তার গহীনে প্রলুদ্ধ মায়া,
ক্রমশ ঝঙ্কার দিচ্ছে।
তবুও প্রতীক্ষা…!
এ যে শেষ হয়েও না হওয়ার মতন হাল,
কোন এক অপরিচিত মূহুর্তের প্রমাদে,
হারাতে অবাধ্য না হলেও….
প্রতীক্ষা….!
জানি একদিন হবে প্রতীক্ষার অবসান!
চাপা হাসি
দুপুরের রোদের উত্তাপ যখন কমতে থাকে,
ঠিক যখন বেলা গড়িয়ে যায়,
সূর্য যখন হেলে পড়ে পশ্চিমে,
সময়টা কাটে হেলে পড়া রক্তিম সূর্য দেখে।
দিনটা অন্য সব দিনের মতই
ঠোঁটের কোণে চাপা হাসি মাখা একজন
শিউরে ওঠার মত চাহনি, তাকিয়ে আছে।
বেলা গড়িয়ে যায়,
তার সেই চাপা হাসি ফুরায় না।
পরদিন, সকাল কয়েকবার সেই হাসির দেখা
কিন্তু সেই হাসিতে, চাহনিতে কি যেন নেই!
বুঝার বিফল চেষ্টা।
বিষণ্নতার আড়ালে বন্দি সে।
যে ছোটদের আদর করতে পারে,
কাছে টেনে নিতে পারে এত সহজে,
তার সেই বিষণ্নতা বড়ই অবাক করার মতই ব্যাপার।
নিজেকে গুটিয়ে রাখতে ভালবাসে সে,
নিজের কষ্টে নিজে পুড়তে জানে,
মনে হয় এটা তার সয়ে গেছে।
কারণটা যে জানা নেই
সে কি কিছু আড়াল করছে?
পরদিন শীতমাখা সকালে জানা গেল
তার বিষণ্ণতায় ডুবে থাকা,
ঠোঁটের কোণে চাপা হাসি,
কিসের অভাব তা
‘মা’ নেই তার
বুকটা হু হু করে উঠলো।
অযত্ন আর অবহেলাই তার বিষণ্নতার
কারণ
দিনগুলো ব্যস্ততায় কাটলেও,
রাত যেন তার কাটেই না।
মা বলতেও তার ঠোঁট জড়িয়ে যায়
চিৎকার করে বলতেও পারে না!
কি নিষ্ঠুর পৃথিবী!
অবহেলা
একটা সময় কারো খবরদারির খোঁজ রাখা হত না,
হত না বললে ভুল হবে, দরকার ছিল না!
কে সুখের ভাগিদার, কে বা দুর্দশার দাবিদার,
জানার স্পৃহা ছিল না।
সময় তার গতিতেই মশগুল
অনেক দিন, মাস, বছর কেটে গেছে!
অযত্ন অবহেলায় মরিচা ধরেছে মনের কিনারে।
অপেক্ষা…
মরুভূমির তপ্ত বায়ুর মত,
যদি ঝড় আসে বা নাই বা আসে,
তবুও মনে জানার ব্যাকুলতা।
সৌন্দর্য কদর্য, শুরু শেষ অজানা,
তাহলে কি কালের আবর্তে শূন্য মানসের হবে আসান?