–
পাহাড়ে উঠেছি ।
কত ঢালু আর বন্ধুর পথ বেয়ে
পাহাড়ে উঠেছি ।
কত না ক্লান্তি, কতই না ক্লেশ সয়ে ।
তবে হঠাৎ নামার সময়,
কীভাবে যে ফসকে গেল পা এক পাথরের ফাঁক দিয়ে।
ভেবেছিলাম চলে যাচ্ছি,
এবার জগতের সব পার্থিব জিনিস ছেড়ে। কিন্তু কোথা হতে এক কাঁটা জাল ধরল আমায় ঘিরে।
সেই কাঁটা জাল যা মোহতে রচিত
মায়ায় জরিত।
সেই কাঁটা জাল যা আছরে ফেলে
আমাকে অতীতের সেই রূক্ষ মরুভূমিতে
যেখানে যাওয়ায় জন্য আমি কর্মজীবনের
কাজে দিয়েছি ফাঁকি।
আজ আমি সে মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে।
দেখতে পাই এক বুড়িমাকে।
যার স্নেহে আমি জরিয়ে পরেছিলাম ক্ষনিক, কাজের ফাঁকে।
যার বাগানের জাম চুরি আমার আবার চোখে ভাসে।
যার আবছা স্মৃতিচিহ্নি আজ বুকে বাঁধে।
সে আমায় আজ যেন ধরে রয়েছে এ পাহাড়ের বুকে।
আরও মনে পড়ে অনেক অনেক কথা
অনেক অনেক স্মৃতি।
কর্মের চাপে তখন হয়েছিল যা পুরোটাই বিস্মৃতি।
তারাও আমায় বেঁধে রেখেছে আজ
এ ধরনীর বুকে।
তবে তাদের দেখে যে আমার
আসে চোখের কোনে মেঘ
তাই আজ বার্ধক্যের এই কারাগারে চাই,
কর্মের বর্ষনসিক্ত সেই জীবনই।
কারণ আজ যে আমি মিশে যাচ্ছি
অতীতের চোরাবালিতে।
এর থেকে ভালো বিলীন হতে
শূন্য তেপান্তরে।
তবে আজ যে আমি জরিত
জীবনের কাঁটা জালে।।