–
–
হৃদয় রতন
মানসের সঙ্গে বীরভূমের লাল মাটিতে
কঙ্কাল সময় দেখলাম
শীত আসার আগেই খসে পড়েছে পাতা
দস্তানার ভেতরে গাঢ় অন্ধকার
তবুও ঝলমলে রোদে সেজেছিল বাগান
আমার লুকিয়ে থাকা কষ্টের জায়গাগুলিতে
হাত বুলিয়ে দিয়েছিলে তুমি
কুঁড়ি, ফুল সব ছুটেছে অন্ধকারের দিকে
রিমোট কন্ট্রোল হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে সাজিয়ে দাও বিছানায়
ভোরের আঁচলে শীতলপাটি সুখ
গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ফণা আর মণি
অন্ধকারের নাম কালো হয় কেন?
একটানে আড়াইশো এমএল বিষ
এনে দেয় প্রিয় অন্ধকার
আঁধারের আলোয় মুছে যায় অবহেলা
নির্বাক কবি কথা না বলা
বইয়ের পান্ডুলিপি
কবিপ্রাণ দেখায় নতুন ভোরের আলো…
সার্কাস
পড়তে পড়তে বইয়ের পাতা ঝাপসা কিশোরীর মনে ভয়ের শিকল, পরীক্ষা,পরীক্ষক আর চার দেওয়াল
এদিকে সার্কাস চলছে রমরমিয়ে কত মানুষের ভিড়
শুঁড় দোলানো হাতির ডাক ওদের বই নেই,পড়া নেই
তবু ওরা আলোর ফেরিওয়ালা
ভয়ের কান্ডারী যারা তারা কি সার্কাস দেখেছে
শান্তিনিকেতনের ভাষা পড়েছে,কিশোরী ভাবুক হয়ে যায়
শিক্ষার পদ্ধতি সার্কাসের কাছে হেরে যায়
বইয়ের পাতা জুড়ে বারের খেলা…
সুবাস
লেজ নাড়ে ভিরু মেরুদন্ড
তারও একটা ধর্ম আছে
জলের ধর্মের মত স্বচ্ছ
অথচ সেবার বন্যায় অতসীর ঘর ভেঙেছিল
ঘর হয়েছে সকলের, পাকা বাড়ি
অতসীর মাটির বাড়ি , তুলসীতলা, চৌকাঠে আলপনা
উঠোনজুড়ে বেলিফুলের সুবাস
হাত জুড়ে কাজের ভিড়
সকলের দেখাশুনা করা, খারাপ লোকের বর্বর ব্যবহার সহ্য করা
ওদের কথা নয়, তবু ওরা কপচায় বুলি মাতাল সময়
বিপদ এলেই পাওয়া যায় কি মমতাময়ীর কোমল আড়াল…
কুঁড়িজীবন
গাছটা নব ফুল পল্লবে সাজিয়েছিল বাগান
ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছিলো আশার মুকুল
একটা একটা করে স্বপ্ন আসে আরও বেড়ে ওঠে সহজ সবুজ
একদিন অমাবস্যার কালো ঢোকে দেহজুড়ে মানচিত্র জুড়ে ধর্ষণের ছবি
রাক্ষসী সন্ধ্যায় পাঞ্চালীর বস্ত্রহরণের পালা
একের পর এক কসাই এর কোপ
ছিঁড়ে যায় সময়ের সুতোয় স্বপ্নের মায়া
কাপুরুষরা পুড়িয়ে মারে জ্যান্ত ফুলের জীবন
পুড়ে যায় সহজ সকালে আদরের স্কুলবেলা,পুড়ে যায় ফিনিক্সের ডানা
সে মুক্ত পাখি হতে পারে নি
ও সাগর হতে পারে নি
রাবণ হাত তাকে মরণের দরজা দেখায়
–
–