–
—
এক আশ্চর্য অনুভূতি-লতায় আটকে আছি আমি
এখন মানুষ হেঁটে গেলে মনে হয় অসুখ হেঁটে যাচ্ছে
এখন মানুষ হেঁটে গেলে মনে অশান্তি হেঁটে যাচ্ছে
তথাপি অন্ধকারে কারও পদধ্বনি
বুকের ক্যানভাসে আঁকে পবিত্র সূর্যোদয়
সারাক্ষণ মিছিলের পায়ে পায়ে খুঁজে ফিরি
প্রকৃত ঋষি-পদ কিম্বা সাধু চরণের সংজ্ঞা……
–
অভিধানে আবদ্ধ ‘সুখ’ শব্দটি যতই চন্দ্রিমা ছড়াক
জীবদ্দশায় সে কখনও জীবনাবদ্ধ স্থায়ী বিশেষ্য নয়
সে আসলে কল্প রঙয়ের একটা অধরা পাখি
তথাপি তাকে কব্জা করতে মানুষের স্বস্তি নেই
নিরন্তর ছুটছে মানুষ,শয়নে-স্বপনে -জাগরণে…..
–
আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ চেহারাটা যতই কংক্রিট হোক
ভেতরে ভেতরে আমরা একা, ভীষণ একা
একাকীত্বের প্রেক্ষাপটে আমারা ঠিক পোড়োবাড়ির মত
কিম্বা ভগ্ন মন্দিরের মত দাঁড়িয়ে আছি
যতই গড়াচ্ছে সময় বাড়ছে বয়স
দলছুট ব্যঞ্জনায় নু’য়ে যাচ্ছি ভেতরে…..।