–
—
শাহেদকে জব্দ করতে না পারলে বোধ হয় পেটের ভাত হজম হয়না বনানীর । ক্লাস কিংবা মাঠ, পুরোটা ক্যাম্পাস জুড়েই শাহেদের পেছনে আঠার মত লেগে থাকে মেয়েটি ।
শাহেদ রহমান খুবই ইন্ট্রোভার্ট আর অন্যদিকে বনানী রায় একটু বেশিই ডানপিটে । বনানী প্রায়ই শাহেদের পাশের সিটটায় বসে পড়ে । কখনও ওর খাতায় নিজের নামটা লিখে দেয় ।
মুখে কপট বাধা দিলেও বনানীর এসব কাণ্ডকারখানা বেশ উপভোগ করে শাহেদ ।
এভাবেই হাসি আনন্দে দিন কেটে যাচ্ছিল ওদের । একদিন অফ পিরিয়ডে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল শাহেদ । হঠাৎেই দলবল নিয়ে হাজির বনানী । শাহেদকে দেখেই ওর মুখের সামনে দুই আঙ্গুলে তুড়ি বাজাল । এতে বরং বেশ খুশিই হয়েছিল শাহেদ । কিন্তু গোল বাঁধাল ওর বন্ধু কায়সার ।
”ফালতু মেয়ে কোথাকার! আর কখনও ওকে বিরক্ত করবেনা ।”
”খবরদার কায়সার! মেয়েদেরকে খাট করে কোনও কথা বলবিনা । তুই আমার বন্ধু, একথা ভাবতেই লজ্জা লাগছে ।” ক্ষোভ ঝরে পরে শাহেদের কণ্ঠে ।
কোন ফাঁকে যে বনানী লজ্জায় মাথাটা নিচু করে চলে গেল, তা শাহেদের নজরে পড়লনা ।
এরপর থেকে বেশ কয়েকদিন যাবত ক্যাম্পাসে আসছেনা বনানী । ওর কাছের কয়েকজন বান্ধবীর কাছ থেকে জানা গেল ওর খুব জ্বর ।
বেশ অপরাধবোধে ভুগছে শাহেদ, যদিও ভুলটা করেছে কায়সার । শাহেদ বনানীকে একটা টেক্সট করল, “সেদিন কায়সারের অমন ব্যবহারের জন্য সরি । আমি ওর হয়ে মাফ চাইছি । আমাকে বন্ধু ভেবে ক্ষমা করে দিও ।”
মেসেজটা পাবার দুদিন আগেই গত হয়েছে বনানী । শাহেদের মনের ক্ষতটা কখনওই সারবেনা । কায়সারের মত মানুষেরা কি কখনও মেয়েদেরকে সম্মান করতে শিখবে?
–
–