–
—
ই বাবু তুহারা জানিস মোর ছিলাটা
আইজও কেনে ফিরাই আইল না ?
কতগুলা বচর পাঁড় হইয়ে গেইলো
তবুও ছিলাটা আইজও—
সে সি বচর , দাইঙ্গা বাঁইধলো
রক্তের বন্যা বইয়ে গেইলো;
দুরভিখে মাইট-ঘাইট সব শুঁকাই গেইলো ,
গাঁইয়ে গাঁইয়ে মড়ক আইলো
সিই ভরাট সাঁজের বেইলায় ;
বিপিন মাইস্টার আইসে কইলো-
খুড়া তুহার ছিলাটা মোর চ্যাঁইগো ।
মো কহিলাম উ ঢাঙস কে লিয়ে
লাভ নাই গো ,
উ তো কাম কইরতে লারে
উকে লিয়ে কি হুবে !
মাইস্টার কইলো—
মোরা একা ইংরাজদের তাড়াইতে লারব ,
উকে লিয়ে মোরা জোইট বাঁইধব
ইংরাজদের তাঁরাই দেব কালাপানি পাইর ।
শুইনে মো ইকিবারি থ !
ত্যাজ্যব যাই বইনে ।
ইংরাজদের তাঁরাই দেবে !
তুহাদের মাথা টো খারাপ ইয়লাই বটে ।
মাইস্টার চোখ পাকাই কইলো –
হ খুড়া মদের মাথা টো খারাপ হইছে বটে ;
মোরা যতখন ইংরাজদের তাঁরাইতে লারব
ই মাথা ঠিক হইবার লয় ।
ইংরাজরা মোদের দ্যাশের শুইত্রু
মোদের শুইত্রু ।
উরা মোদের সোনার দ্যাশটা শুইসে লিয়ে
পলাই যাইছে লিজেদের দ্যাশে ।
সাহেবদের তাড়াইতে পারিলে
মোরা স্বাধীন হইব ,
স্বাধীন রাইস্ট্র গড়ব ;
দ্যাশের লোক দুবিলা দু মুটো খাতি পাইরবে
মা বইনদের ইজ্জত রইবে ।
ই সব শুইনে-
মোর মাথা টো কেমন ঘুরাই গেইলো
এক খণ্ড স্বপ্ন আইল বুকে ;
স্বাধীন দ্যাশ !
প্যাট ভইরে ভাত !
মা বইনদের ইজ্জত !
মোর ছিলাটা কেমন হইয়ে গেইলো
আগুন ঠিকরালো চোখে ;
যেন এখুনি হারমাইথদের পাইলে ঝলসে দেয়,
বুইল –
মো দ্যাশের হইয়ে লড়ব ব্যাপ ।
তারপর—
তারপর দ্যাঙ্গা ব্যাইধলো ।
খুনো খুনি হইলো ,
রক্তের স্রোত গেইলো বয়ে
দ্যাশ স্বাধীন হইলো ।
বড় বড় রাস্তা হইলো
সরু সরু পাতি দিইয়া অবাক কইরা
র্যালগাড়ি চইল ।
কিন্তু মোরা –
মোদের প্যাটে ভাত লাইগ ,
মোদের ইজ্জত লাইগ
মাইস্টারের স্বপ্নের দ্যাশটা ;
রাজপুইত্রের মত কুথায় যেন—
ছুটতে ছুটতে পলাই গেল
সাত সুমুদ্র তেরো লদির দেশে ।
সি স্বপ্নের দ্যাশটা ফিরাইতে মোরা
আজও লড়ব ।
মোর ছিলাটা তো ফিরা আইলনা
তুরা লব যৌবনের দ্যূত
তুরা দিবি মোর সাইত ?