–
—
” সরি ইয়ার, আমি তোদের সাথে জয়েন করতে পারছি না রে ।” কাঁচুমাচু মুখে বলল রাহুল।
” ওফ্ , তোর সেই এক ভাঙা রেকর্ড। শুধু না, না আর না ।” বিরক্ত হয়ে বলল অনল।
” তোকে তো আমরা সেই পুজোর আগে বলেছিলাম, এখন আবার কী হল , টিউশনি চলে গেছে ?” জানতে চাইল সাথী।
” টিউশনি তো লোকাল ট্রেনের মত, যাতায়াতের মধ্যে থাকে। সেটা নয় রে, এখন একটা অন্য বিষয়।” রাহুল উত্তর দিল।
” বাব্বা, তুই তো একেবারে প্রফেসরদের মত বলছিস, অন্য বিষয়।তা কী শুনি। কী এমন বিষয় যে তিনমাসে তুই পাঁচশ টাকা জমাতে পারলি না বড়দিনে বন্ধুদের সঙ্গে ফিস্ট করার জন্য !” অনল জিজ্ঞেস করল ।
” তোর যদি অসুবিধা থাকে তো বলনা, আমি দিয়ে দিচ্ছি , তুই পরে সুবিধা মত দিয়ে দিস, কিন্তু প্লিজ কুইট করিস না। দেখবি খুব আনন্দ হবে ।” সাথী বোঝানোর চেষ্টা করল।
রাহুল কিছুটা অপ্রস্তুত হল, তারপর সামলে নিয়ে বলল ” গত পরশু টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে একটু রাত হয়েছিল। ফেরার সময় দেখলাম আমাদের বাসস্টপে খোলা আকাশের নিচে যে লোকগুলো থাকে ওদের বাচ্চাগুলো শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছে আর কাঁদছে। তখনই ঠিক করলাম জানিস , আমি এই তিনমাসে যে বারশ’ টাকা জমিয়েছি তাই দিয়ে ওদের কম্বল আর সোয়েটার কিনে দেব। ওই জিনিসগুলো গায়ে দিয়ে বাচ্চাগুলোর মুখে যদি হাসি দেখতে পারি, ওর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুতেই হবে না ।”
–
–