–
—
আফ্রিকার এক ছোট্ট দেশ এরিত্রিয়া। সেখানে নতুন এক আইন জারি করা হয়েছে। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে— সমস্ত পুরুষকে অন্তত দু’টি করে বিয়ে করতেই হবে। যদি কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি করেন, তা হলে তাঁর শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।
এই আইনে সম্প্রতি সিলমোহর দিয়েছে এরিত্রিয়া সরকার। আরবিক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র এরিত্রিয়াতেই এই আইন বলবৎ করা হয়েছে।
রীতিমতো ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে এই নির্দেশকে মান্যতা দিলেন গ্র্যান্ড মুফতি।
এই দেশের এক দিকে রয়েছে সুদান আর ইথিওপিয়া, আরেক দিকে রয়েছে জিবুতি এবং অন্য আর এক দিকে লোহিত সাগর।
দেশটি ইথিওপিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে ১৯৯৩ সালে।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য অনেক পুরুষকে অকালে হারিয়েছে এরিত্রিয়া। ফলে পুরুষের সংখ্যা হু হু করে কমেছে এই দেশে। এই মুহূর্তে পুরুষের আকাল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তাই দেশের জনগণের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই এই আইন কার্যকর করল সরকার। আসলে এরিত্রিয়ার জনসংখ্যা চৌষট্টি লক্ষেরও কম।
আর এই সংখ্যাটির মধ্যে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা তিন চার গুণ বেশি। ফলে একজন পুরুষ যদি একজন মহিলাকেই বিয়ে করেন, তা হলে এই দেশের অধিকাংশ মহিলাই যেমন অবিবাহিত থেকে যাবেন, ঠিক তেমনি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও দিনকে দিন একদম তলানিতে এসে ঠেকবে। যেটা কোনও দেশের পক্ষেই কাম্য নয়।
তাই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে তড়িঘড়ি গড়ে তোলা হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি। তাঁরাই আলাপ-আলোচনা করে, সব দিক খতিয়ে দেখে এই প্রস্তাব সরকারকে পাঠিয়েছেন।
তাঁরা বলেছেন, একজন পুরুষ যদি একাধিক নারীকে বিয়ে করেন, একমাত্র তা হলেই এই পরিস্থিতির অন্তত কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব।
আর এই কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার জন্য আইনের পাশাপাশি সরকারেরও উচিত নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া।
যেমন, যাঁরা দুইয়ের জায়গায় তিন, চার, পাঁচ কিংবা ছ’টি মেয়েকে বিয়ে করবে, তাঁদের সেই অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য কিংবা পুরস্কৃত করা উচিত। দেওয়া উচিত বাসস্থান কিংবা চাকরি অথবা মাসিক ভাতা বা এই ধরনের অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা উপহার দেওয়া।
ফলে তাঁদের প্রস্তাব মতোই এই আইন বলবৎ করা হয়।
–
–