–
—
জন্মান্তরে বিস্মৃত কি অতীত জন্মের স্মৃতি,
ধোঁয়াশার মধ্যে ভাসে চুড়ির আওয়াজ, দৈনন্দিন,
চেনা শহরে পা রাখলে অস্পষ্ট ছায়ারা সরে যায়,
নদীর ধারে বসলে কে যেন একটা পাশে বসে,
আলগোছে সরায় আঁচল, চুলের ঘ্রাণ বাতাসে,
ঠিক সেই সময় চেনা কোনো গান ভেসে আসে,
ঠিক মনে পড়ে না কোথায় শুনেছি কিন্তু চেনা,
হাটের পথে গেলে অনেক মানুষের ভীড়ে অবয়ব
যেন, খুব চেনা কোথায় দেখেছি ভাবতেই সরে যায়
ভাবনাটা,সেদিন বটের ছায়ায় একটি মেয়েকে
কাঁদতে দেখলাম, কারণটা জিজ্ঞেস করব যে,
দেখলাম না আর তাকে, দুটো পথ ছিল সামনে
তারই একটা দিয়ে হেঁটে গেলাম, দেখলাম বাগান,
বাগানটা খুব চেনা, কিন্তু কোথায় দেখেছি পড়ল
না মনে, কিছুতেই মনে পড়ল না, ভীষণ কষ্ট হল,
মনে হল কোনো পথের বাঁকে বসে আছে কেউ
শুধু আমারই জন্যে, কিন্তু কে বসে আছে পড়ল
না, কিছুতেই না-না-না মনে পড়ল না, মনে হল
আমি বিরহী কেউ, মৃত্যুর পরে বেঁচে উঠেছি
বহুদিন, কিন্তু যে ছিল আমার সঙ্গে একান্ত হয়ে
সে কোথায়? তার কি মৃত্যু হয় নি? শপথ নিয়েছিলাম
একই সাথে,জন্মান্তরে লাভ কি হল, কথা ছিল
চলব একই সাথে, তুমি না আসলে জন্ম নেব
আর কত? তোমার অপেক্ষায় চিরবিরহী হিয়া।
–
–
–