” তুমি কেমন আছো চন্দ্রাবলি “? প্রেম জিজ্ঞেস করল।
চন্দ্রাবলি বলল, ” ভালো নেই“।
” কেন? “প্রেম জিজ্ঞেস করে।
চন্দ্রাবলি বলে, ” আমার অসুখ হয়েছে। `
`
`
`’কি অসুখ?’ প্রেম জানতে চায়।
‘ডাক্তার বলছেন আমার শরীরে কোন অসুখ নেই। “
“তা হলে?’ প্রেম অবাক হয়।
” বুঝি না। তবে মেঘলা দিনে আমার মন উদাসী হয়ে যায়। রাতে আমি নি:সঙ্গ অনুভব করি। জ্যোৎস্না রাতে আমার চোখে অশ্রু নামে। নির্জন দুপুরে আমার বুকে একটি কোকিল ডেকে যায় অনবরত। সমুদ্রের ধারে গেলে ঢেউ আমার পা ভিজিয়ে দিয়ে বলে, রক্ত নেই কেন এতো টুকু? ।
পাহাড়ের কাছে গেলে পাহাড় বলে তোমার হৃদয় আমার মতো বিশাল নয় কেন? দূর ভমনে গেলে আমার বুকে নির্বান্ধব ব্যাথা জেগে ওঠে। আমার ভয় করে খুব।
স্বপ্ন দেখি রোজ আমি একটু একটু করে মরে যাচ্ছি। কি করি আমি বলো তো প্রেম?“প্রেম হাসি মুখে বলে, ” তুমি আমার হাতে রাখো তোমার হাত। আমার চোখের ওপর রাখো তোমার চোখ। আমার ঠোঁটের ওপর রাখো তোমার ঠোঁট। আমার হৃদয়ে রাখো তোমার হৃদয়। এবার হারিয়ে যাও আমার ভিতর।“
“
কিছু সময় পর প্রেম জিজ্ঞেস করে. ” এখন কোন অসুখ অনুভব করছো? “
চন্দ্রাবলি সুখী পাখির গলায় বলে, ” না। `
`তোমাকে`বাঁচতে গেলে এই খেলা খেলতে চন্দাবলি। তুমি রাজি? ”
চন্দ্রবলি জ্যোৎস্না মতো হেসে বলল, ” হুম“।