” আমার বরটা তো আমার ঘন কালো চুল দেখে প্রেমে পড়েছিল। আমার চুল নাকি ও স্বপ্নেও দেখতে পায় ।” ন্যাকামি করে বলল ববিতা।
এ সময়টা ওরা চারজন একদম কলেজ জীবনে ফিরে যায়। ওদের ক্লাস সিক্সে পড়া মেয়েরা স্কুলে ঢুকে গেলে স্কুল থেকে একটু দূরে একটা বড় বাড়ির বারান্দায় ওরা আড্ডা বসায়। একেবারে মেয়েদের স্কুল ছুটি পর্যন্ত। ততক্ষণ ওরা মা,বউ কিচ্ছু থাকে না। কলেজ গোয়িং হয়ে যায়। নীতা, পম্পা, আয়েশা আর ববিতা।
” আমার চোখ দেখে। আমার এই হরিণের মতো টানাটানা চোখে নাকি আমার বর ডুবুরির মত ডুবে যেতে চায়। বোঝ একবার !” হো হো করে হেসে বলল নীতা।
” আর লজ্জা। আমার বরটা তো লজ্জার মাথা খেয়ে একবার আমার মায়ের সামনে বলে কী জানিস, আপনার মেয়ের ফিগার তো একদম দীপিকা পাড়ুকোনের মত ।কোন আটার রুটি খাওয়াতেন ওকে শাশুড়ি মা ।বোঝ কান্ডটা ! ” হেসে গড়িয়ে বলল আয়েশা।
” সব রোমান্টিক বরগুলো একজায়গায় জুটেছে বল! এই পম্পা এবার তোর পালা। তোর কী দেখে তোর বর প্রেমে পড়েছিল। চুল, চোখ, ফিগার নাকি অন্য কিছু?” হাসতে হাসতে পম্পাকে বলল নীতা।
” সে গুড়ে বালি। আমার বরের ওসব নাকি আসে না।” মুখ বেঁকিয়ে বলল পম্পা।
বেশ হতাশ হয়ে পম্পা বলল ” আমার বর বলেছে, ও নাকি শরীর দেখে নয়, আমার মন দেখে প্রেমে পড়েছিল ।”
আপনার মতামত এর জন্য