==================================
শীত মানেই একটু অন্যরকম ভালোলাগা, শীত মানেই পিঠা পুলির উৎসব। শীত মানেই মায়ের কাছে হুটহাট পিটা পুলি, ফিরনি পায়েস খাওয়ার আবদার। শীত মানে কৃষকের অন্ন উঠানোর পর হাপ ছেড়ে একটু ক্লান্তি দূরকরা। প্রকৃতিতে এখন ঠিক সেই সময়টাই চলছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত আনন্দে বিভোর হয়ে থাকে শীতের প্রতিটা প্রহর। চারদিকে মাতাল করা সব মজার মজার গন্ধ। পাটালী গুড়, খেজুরের গুড় ও নারকেলের মিশ্রণে ভাঁপা পিঠার বুকে লেপ্টে দেয়া গুড়ের হাসি আহা কতইনা মজার গন্ধ। খেতে যা সাধ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
জিবে জল আসার অবস্থা। আবার সেই পিঠা যদি মায়ের হাতের হয়ে থাকে তাহলেতো কোন ভাষাই নেই এই সাধের ! খেজুর গাছের মাথায় কলসির গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ।
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে দুষ্ট ছেলের দল বেড়িয়ে পরে ঢিল ছুড়তে খেজুর গাছে লটকানো কলসি ফুটো করার ধান্ধায় ! ঢিল ছুড়েই কলসি ফুটো করে হা করে খেজুরের রস খাওয়া !
রস পাড়তে এসে গাছি তাদের দেখে ফেললে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া ! ইশ কতইনা মজা। সকাল হলেই মন্ডা মিঠাই দিয়ে হালকা নাস্তা করা। একটু পর আবার রুদে বসে সকালের নাস্তা ভাত, খিচুরি নয়তো ফিরনি পায়েস দিয়ে।
শিশুদের ফোকলা দাঁতের হাসি, বৃদ্ধ দাদির তুষের অনলে গা গরম করা মাটির হাড়িতে কয়লা রেখে ! আর দাদার কোলে চাদর মোড়ানো কিশোর নাতীর শীত পোহানো !
সত্যিই শীত মানেই বাঙালির আনন্দের জোয়ারে মেতে উঠা। শীত মানেই অলস নারীর শিশুর মতো স্নান না করেও মিথ্যা বলা ! কে কতদিন স্নান করেনি এ নিয়ে বাক বিতন্ডা !
শীত মানেই যুবকরা একটু সেজে গুজে পরিপাটি হয়ে হাটে ঘাটে, মাঠে চষে বেড়ানো। এমনই একটি শীতের মরশুম চলছে এখন আমাদের বাঙালি পাড়ায় ! তাই সবাইকে নিমন্ত্রণ এই মমতাময়ী আমার বাংলায়। সকল জাতিকে আমার বাংলা মায়ের শীত সংস্কৃতির পিঠা পুলির নিমন্ত্রণ।।।
…………………………..
আপনার মতামত এর জন্য