.
” দেখো, দেখে শেখো, কাজের প্রতি ডেডিকেশন কাকে বলে ।” শুভ্রর দিকে গলা চড়িয়ে কথাগুলো বললেন ওর বস মিঃ সামন্ত।
অফিসের পর অন্য একটা কাজ, তারপর সেখান থেকে আর একটা। শেষেরটায় যাবার সময় মৃদু আপত্তি করেছিল শুভ্র। ঘড়ির কাঁটা রাত ন’টা ছাড়িয়েছে। জানুয়ারির গোড়াতে শীতটাও বেশ পড়েছে।
পথে লোক তো দূরের কথা, রাস্তার কুকুরগুলো পর্যন্ত গুটিশুটি মেরে পড়ে আছে। যতটা চোখ যাচ্ছে ফাঁকা। শুভ্র তাই ওর বস মিঃ সামন্তকে বলেছিল কাজটা অন্য দিন করতে।রাত বেশি হয়ে গেলে শুভ্রর বউয়ের জেগে থাকতে কষ্ট হয়। মিঃ সামন্ত প্রায় রাজি হয়ে গেছিলেন। আর তখনই ঘটল ছন্দপতন।
” বাবু , কিছু ভিক্ষা দেবেন।” ওরা খেয়ালই করেনি, ওরা দু’জন বাড়ি ফেরার জন্য যেখানে দাঁড়িয়ে অ্যাপ ক্যাবের অপেক্ষা করছিল, ঠিক তার পাশেই বসেছিলেন এক প্রৌঢ়। শীতে জবুথবু।কালো কম্বল মুড়ি দেওয়া। একটু আগেই বোধহয় আগুন পুহিয়ে ছিলেন। এখনও ধিকধিক আগুন জ্বলছে। মাথায় রুক্ষ চুল। গালে কাঁচাপাকা দাড়ি। বাঁহাতে ঠোঙায় কিছু খাচ্ছিলেন, ওদের দেখেই ডান হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চাইলেন।
” কিছু বুঝলে !” মিঃ সামন্ত প্রশ্ন করলেন।
” কী স্যার !” বাড়িতে ফেরার চিন্তায় তখন আর কিছুই মাথায় ঢুকছে না শুভ্রর।
কিছুটা বিরক্ত হয়েই মিঃ সামন্ত বললেন ” একেই বলে ডেডিকেশন। পরিস্থিতি যাই হোক, বিরক্ত না হয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া।অলওয়েজ অন ডিউটি। শেখো শুভ্র কিছু শেখো, সবার কাছ থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে ।”
.
আপনার মতামত এর জন্য