.
” কী ব্যাপার, ক’টা বাজে সেদিকে খেয়াল আছে, সন্ধ্যা তো আরও একঘন্টা আগে নেমেছে , এতক্ষণে বাড়ি ফেরার সময় হল!” বিরক্তি প্রকাশ করে বাবা তিমিরকে বললেন।
” আজকে একটা পাড়া ফুটবল নিয়ে মিটিং ছিল, তাই দেরি হয়ে গেল ।” সাবলীলভাবে বলে বাথরুমে ঢুকে গেল তিমির।
” করোনার দোহাই দিয়ে , পরীক্ষা না দিয়েই তো নাইন থেকে টেনে উঠে গেলি, এদিকে পড়াশোনাও তো লাটে উঠে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল আছে ?” তিমিরকে বাথরুম থেকে বেরোতে দেখে বাবা বললেন।
” কেন, অন লাইন ক্লাস করছি তো, প্রজেক্টও করছি, একদিন একটা দরকারি মিটিংয়ের জন্য একটু দেরি হয়েছে বলে তোমার আবার বেশি বেশি !” এবার তিমির বিরক্ত হল ।
” বেশি বেশি মানে, একবছর পর ক্লাস টেনের ফাইনাল পরীক্ষা, কোথায় দিনরাত পড়াশোনা করবে, না সে এখন মিটিং-এ ব্যস্ত! হালদার দা-র মেয়ে পিঙ্কিকে দেখে কিছু শেখ। তোরই বয়সী, কিন্তু কী মেধা, যেমন লেখাপড়ায় তেমন গানের গলা। তোর তো কোন মেধাই চোখে পড়ে না ।” গলা চড়িয়ে বাবা বললেন।
” তুমি কী বলতে চাও, আমি পিঙ্কির মতন হব। পিঙ্কিকে কপি করব। মানে ও যা করে তাই করব ?” জানতে চাইল তিমির।
” করলে ক্ষতি কী !” বাবা উত্তর দিলেন।
হাসি হাসি মুখ করে তিমির বলল ” পিঙ্কির দু’টো বয়ফ্রেন্ড আছে!”
.
আপনার মতামতের জন্য