.
লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে। সবার মুখেই এক কথা— নদীতে ভেসে আসছে কোটি কোটি টাকার সোনা। আর সোনালি রংতার মতো একেবারে ফিনফিনে, হালকা, বিচিত্র আকারের সেই সব সোনার পাতের টুকরো কুড়োতেই স্থানীয় লোকজনেরা একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
ছত্তিশগড়ের যশপুরের একটি নদীতে নাকি ওই সোনার টুকরোগুলো ভেসে আসতে দেখা গেছে। দু’-এক টুকরো সোনা কুড়িয়েও পেয়েছেন অনেকে। স্থানীয় লোকজনদের ধারণা, এলাকার আশপাশে নিশ্চয় বিশাল বড় কোনও সোনার খনি রয়েছে। না হলে এত সোনা আসছে কোথা থেকে? তাঁরা মনে করছেন,
সেই খনিতে নিশ্চয়ই তাল তাল সোনা পড়ে আছে। আর এই কানাঘুষো নিয়েই ছত্তিশগড়ের যশপুরে ঘনিয়ে উঠেছে সোনার খনির রহস্য। প্রশাসনের কানে খবর পৌঁছনো মাত্রই শুরু হয়ে গেছে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু সোনা পাওয়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয়রা। তাই এর সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বিশাল লোকজন নিয়ে খনন কার্য শুরু করা হয়েছে। এলাকার বয়স্কদের মতে, সোনা পাওয়াটা এখানে নতুন কিছু নয়।
এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী, ঝোরার গোষ্ঠীভুক্তদের কাছ থেকে অনেক দিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে নদীর আশপাশে সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার গল্প। এই সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার খবর চাউর হতে না হতেই নড়েচড়ে বসেছেন এলাকার মানুষ। সরকারি উদ্যোগে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, সোনার খোঁজে এই নদীর দু’পার ধরে পুরোমাত্রায় তল্লাশি চালানো হবে। সোনা নিয়ে এখানে এতটাই মাতামাতি শুরু হয়েছে যে, এই এলাকাটির নতুন একটা নামকরণও হয়ে গেছে। আর সেই নামটি হল— সোনাঝুরি।
২০১২ সালে এই বিষয়টি প্রথম সরকারি ভাবে নজরে আসার পরে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টি দেখা শুরু করে। এমনকী, একটি দক্ষ বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ওই এলাকায় সমীক্ষাও চালায়। কিন্তু ইতিবাচক বা স্বস্তিদায়ক কোনও ফল পাওয়া না যাওয়ায় তখনকার মতো সোনার খনির খোঁজে ইতি টানা হয়।
এখন নতুন করে আবার সেই সব সোনার পাত নদীর স্রোতে ভেসে আসায়, সরকার হয়তো বিষয়টি নিয়ে ফের সরোজমিনে খতিয়ে দেখবে। আর সেই গুঞ্জন নিয়েই, স্থানীয় মানুষদের উৎসাহ এখন তুঙ্গে।
.
আপনার মতামতের জন্য