” চপ্পলটা খুলে ছুঁড়ে মার, টিপ করে ।” চিৎকার করে বলল শম্ভু দা।
হিমেল সেই মত বা পা থেকে চপ্পলটা খুলে ছুঁড়ে মারল। টিপ করেছিল কিনা ওই জানে, তবে লাগলো না।
” সত্যি, বলিহারি তোর টিপ! জীবনে কোনোদিন ক্রিকেট- ফুটবল খেলিসনি। নিদেনপক্ষে ডাংগুলি বা কাঁচের গুলি। যদি খেলে থাকিস তবে তো লজ্জা আরও বাড়ল।” বিরক্ত হয়ে বলল শম্ভু দা।
” কী হয়েছে শম্ভু দা, তুমি এত রাগ করছ কেন? এটাতো খুবই সামান্য ব্যাপার। একবারে হয়নি, সুযোগ তো পাবই, নেক্সট টাইম ঠিক হয়ে যাবে ।” হিমেল আশ্বস্ত করল।
” হবে না, আর একবার কেন, দশবার সুযোগ পেলেও হবে না। আমি তো দেখলাম, ছোঁড়ার সময় তোর ইচ্ছাটাই নেই। আরে, যেকোন কাজ, তা সে বড়ই হোক বা ছোট, সবার আগে যে করছে তার ইচ্ছা থাকাটা দরকার, ভীষণভাবে দরকার। আমি তো খেয়াল করলাম, তোর সেটাই নেই। কী ব্যাপার বলত, অন্য কোন গল্প আছে নাকি?” শম্ভু দা জানতে চাইল।
” কী যে সব তুমি বল না, ভাল্লাগে না। একটা সামান্য ঘটনাকে তুমি বড় করছ। দাঁড়াও এরপর থেকে আমার তাল খাওয়ার ইচ্ছা হলে বাজার থেকে কিছু তিল এনে তোমার হাতে দিয়ে দেব, ব্যস, তোমার ছোঁয়ায় ওগুলো তাল হয়ে যাবে ।” প্রসঙ্গ পাল্টানোর চেষ্টা করল হিমেল।
” দেখ হিমেল, আমার মাথার চুল, গালের দাড়ি কিন্তু রঙ লাগিয়ে সাদা হয়নি। আমি তোর চোখে কেমন বেশ করুণাভাব দেখতে পেয়েছি ওই আরশোলাটাকে চপ্পল ছুঁড়ে মারার সময়। আমার দিব্যি তুই সত্যি কথা বল।” শম্ভু দা সত্যি জানতে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করল।
জিভ কাটল হিমেল, নীচু স্বরে বলল,” তুমি ঠিকই বলেছ শম্ভু দা, আমি আরশোলাটাকে আঘাত করতে চাইনি। তবে করুণায় নয়, কৃতজ্ঞতায়। আমার ভয়ঙ্করী বউটা এই একটা প্রজাতিকেই শুধু ভয় পায় তো, তাই ।”
আপনার মতামতের জন্য