” হ্যালো, রুজু , কী ব্যাপার বলত, চারদিন হয়ে গেল আমার কল রিসিভ করছিস না, ম্যাসেজের রিপ্লাই দিচ্ছিস না, শরীর ঠিক আছে তো !” এক সমুদ্র আশঙ্কা নিয়ে বলল সোম।
” না, না, শরীর ঠিক আছে ।” নরম গলায় বলল রুজু।
” তবে, কী হয়েছে! ফোন ধরছিস না কেন ?” অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল সোম।
” কী করে তোকে বলব সেটাই বুঝতে পারছি না। তুই শুনলে কষ্ট পাবি , তাই বলতে চাইছিলাম না ।” রহস্য জড়ানো গলায় বলল রুজু।
” ফুটেজ খাওয়া বন্ধ কর। যা ঘটেছে খোলাখুলি বল। আমার হার্ট যথেষ্ট শক্ত ।” মনের ভিতর ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও শান্তভাবেই বলল সোম।
” আমি না তোকে বিয়ে করতে পারব না ।” কথাটা বলেই চুপ করে গেল রুজু।
নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না সোম। লাস্ট উইকে বিয়ে নিয়ে কত প্ল্যান করল একসাথে। আজ হঠাৎ! তবু নিজেকে সামলে নিয়ে বলল ” কেন ?”
” বাবা রাজি হচ্ছেন না ।” ছোট্ট উত্তর রুজুর।
” তুই কী চাস !” সোম জানতে চাইল।
” আমি কী চাই সেটা বড় কথা নয় । আমি শুধু বাবাকে কষ্ট দিতে চাই না।” ধরে আসা গলায় বলল রুজু।
” কাকে বিয়ে করছিস।” সরাসরি জানতে চাইল সোম।
” আমাদের পাশের পাড়ার হরি কুন্ডুর ছেলে ঋককে। ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ার, মুম্বাইয়ে জব করে। বাবার খুব পছন্দ। আর শোননা তুইও একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিস। প্লিজ দেবদাস হোস না। এখন ওসব মানায় না ।” বলল রুজু।
হঠাৎই জোরে হেসে উঠলো সোম, কোনও মতে হাসি সামলে বলল ” জানিস তো আমার মা অনেকদিন ধরে আমার জন্য একটা সম্বন্ধ দেখে রেখেছে, এতদিন রাজি হইনি, ভাবছি এবার হয়ে …” সোমকে কথা শেষ করতে না দিয়ে ওপার থেকে রুজু জানতে চাইল ” কে ?”
শান্ত গলায় সোম বলল ” হরি কুন্ডুর মেয়ে।”