ফুল খুঁজতে গিয়ে নিজের
অজান্তেই নিজেকে খুঁজে
পেলাম অশেষ নির্জনতায়।
রাতচরা পাখির মত জীবন
আনন্দ অন্বষণে এই যাপন,
অনাবিল সুখ-দুঃখের প্রেম।
ফুল,পাখি,আকাশ ও অসহায়
মানুষের সাথে আলাপন,এদের
সাথে নিশিযাপন,বহুব্রীহি সুখ।
বিবেক
শ্রী রাজীব দত্ত
জ্বলছে চিতা
উঠছে আগুন
পুড়ছে বড় মানুষের লাশ,
শেষ হয়েছে অহংকার
শেষ সর্বনাশ।
কি হলো এত পয়সা?
কোথায় তোমার পালঙ্ক?
কোথায় তোমার নবাবীয়ানা?
শেষ হয়েছে সব আতঙ্ক।
বেঁচে থাকতে, মানুষকে মানুষ ভাবো নি
ভেবেছ কেবল পশু।
কাউকে কখনো আহার দাও নি
অনাথ হয়েছে অনেক শিশু।
তুমি পাপ থেকে পাপ ভাবোনি
ভেবেছিলে ওটাই পুণ্য ।
কুবেরের ধনসম্পত্তি পেয়েও
অহংকারী রাজা , তুমি আজ শুন্য।
জীবনের শেষে তুমি কি পেলে?
কোথায় গেল দামি গাড়ি?
সব হিসাব মুছে ফেলে
জীবন করল তোমার সাথে আড়ি।
আঁধার মরীচিকা
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
ভেবেছিলাম, উঠবো বিকশি
শুনে তোমার মধুর বাঁশি
ভেবেছিলাম, দেখবো চোখ খুলি
সুখে দুঃখে সকলে করছে কোলাকুলি
ভেবেছিলাম সবারে রাখবো যতনে
বাঁশির সুরে শয়নে জাগরনে।।
হারিয়ে গেল সেই শত হাজার স্মৃতি
সজল চোখে অন্তরে হারাই শকতি
এখন একা প্রাণের সাথে বলি কথা
কেউ আসে না পাশে বোঝেনা ব্যাকুলতা
খেলা শেষে দেখবো কি মরীচিকার হাতে
নব প্রভাত আলো মিশেছে আঁধারে তে???
জ্যোৎস্না-অভিসার
সুমিত মোদক
অনেক দিন তোমার সঙ্গে দেখা হয়নি ;
দেখা হয়নি নিজের সঙ্গেও …
অথচ , কথা হয়েছিল দেখা হবে একদিন ;
মাঘী পূর্ণিমার রাতে ,
সাগর সৈকতে ;
সেই সিন্ধু সভ্যতা থেকে দুজন দু পথে হাঁটা শুরু করেছিলাম ,
আজও হাঁটছি …
যুগান্তরের বিজয় কেতন নিয়ে ;
বহু আগেই ভগিরথ গঙ্গাকে নিয়ে পৌঁছে গেছে
কপিলমুনির আশ্রম ছুঁয়ে ;
যেখানে আমাদের সাংখ্যদর্শণ …
যেখানে আমাদের মিলন ক্ষেত্র ;
পূর্ণিমার আকাশ ঝলমল করে উঠলে ,
ভিতর থেকে কে যেনো তোমাকেই খোঁজে ,
রাধিকা-যন্ত্রনায় ;
শ্রীকৃষ্ণের আড়বাঁশি , শ্রীরাধিকার কাছেই থেকে গিয়েছিল ,
থেকে গিয়েছিল প্রেম-অভিমান-অভিসার…
ঝাউ বনের ফাঁক গলে গলে বেরিয়ে আসছে জ্যোৎস্না ,
দখিনা বাতাস , আর একটানা ঝিঁঝির শব্দ ;
তোমারই প্রতীক্ষায় ;
এখন থেকে আবার দুজন হাঁটা দেবো গোমুখ পথে ;
শুনবো জন্ম কথা ;
কার জন্ম কথা !
আমার জন্ম কথা , আমাদের জন্ম কথা ;
ভগিরথ শুনিয়েছে তার জন্ম কথা ;
মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাসও …
আজ শুনবো তোমার কথা , তোমার জন্মান্তরের কথা ;
তার পর দুজনেই যাবো জ্যোৎস্না-অভিসারে ।।