একটি নদী,একটি নারী,একলা পুরুষ
একটি ফুল,একটি সন্ধ্যা,একটি স্বপ্ন,
কাকে চাই,কাকে দেখছি,বৃষ্টি আসবে…
উঠলো ঝড়,পাতা পড়ছে,হরিবোল হরি।
সূর্য উঠেছে,সূর্য হাসছে,সূর্য দেখছে,সূর্য
নিভবে,কিসের ভয়,ভয় কিসের,মিছিল
আসছে,ওরে ও ময়না,কিসের ভাবনা,
কারা আসছে,কারা যাচ্ছে,হিসাব হয় না।
তারা বেশ আছে,ভয়হীন চোখ,রক্তজবা,
খুব বাহাদুরি,আগে তো দেখেনি,পাজী
বদমাশ,বাবা বড়বাবু,লালপাড় শাড়ি,
গা-ছমছম,রাত গাঢ় হয়,মাতালের বেশ।
কবিতায় খুন,গল্পে আগুন,শিরোনামহীন
অগ্নিমন্ত্র,পুরোহিত আসে,সমাধান কই,
এ-পাড়ায় ছুটি,ও-পাড়ায় পুজো,হাটবার
আসে,অসময় যায়,সুদিন ফেরে,ভূত সঙ্গীত।
আরে মহাশয়,কিসে অত ভয়,গাব জাল দিতে
শীবের গাজন,গাঁজাখোর হাসে,হা-ডু-ডুর মাঠ,
প্রেতসঙ্গীত,পরিদের নাচ,মজলিসে বোম,আরে
বাপ,কবিতা হাসে,ভূত প্রেত আসে চুপ করে থাক।
চিত্ত রোদন
সকাল থেকে পড়ে যাচ্ছি
মাগো একটু খেলতে চাই,
তোর কথাতো সবই মানি
মনটা আমার ভালো নাই।
এতো পড়ার চাপে কেমন
মাথাটা আজ ঘুরছে ওই,
পড়ার পরে লিখতে হচ্ছে
আমার খেলার সময় কই?
মাঠে গিয়ে খেলতে পেলে
মনটা ভালো থাকবে মা,
পড়ার পরে খেলার জন্য
বাবার আদেশ নিতে যা।
একটু খেলে আবার আমি
ফিরে এসেই থাকবো ঘর,
যেতে দে না এখন আমায়
দু’হাত জুড়েই করছি গড়।
সব সময়ে পড়তে থাকলে
শুনেছি রোগ অনেক হয়,
শরীরটা না থাকলে ভালো
পারবো কি আর বিশ্ব জয়?

জনতার তবক
আমি তোমায় খুব চিনেছি
তাই করি না পরোয়া,
ডিগবাজি আর ধান্দাবাজির
শিক্ষা তোমার ঘরোয়া।
ফেতনা-ফ্যাসাদ,ঝুট- ঝামেলা
দেয় তোমাকে অক্সিজেন,
তোমার যারা সঙ্গী সাথী
তোমার মত কক্সি মেন।
দেশের যত শান্তিপ্রিয়
ভাগ্যহত জনতা,
অশান্তিতে আর কতকাল?
মানছে না যে মন-ও তা।
তাইতো বলি থাকতে সময়
শুদ্ধাচারের সবক নে,
নইলে যাবি মা’য়ের ভোগে
আমজনতার তবক এ।