কতিপয় বৈকালিক আহলাদের মোহ কাটিয়ে
বাউলমেঘেরা উড়ে চলে,
সূর্যকে খোঁজে অনবরত।
দিগন্ত বিস্তৃত বিষন্নতার রুমালে
রঙ্গীণ সূতোর
থোকা থোকা ছন্দে চিঠি লিখে যাই।
সর্ষে-কাউনের মেটে খাতাগুলো
পড়েছিল কৈশোরটেবিলে।
পানসে খাতার শীতল শরীর থেকে
নোনাজলের কবিতা লেখার প্রয়াসে
হাত বাড়িয়ে আছি নিরন্তর —
অম্লমধুর স্মৃতিরা পাখি হয়ে মিলায় অচিনপুরে।
চমক লাগার মানসে নির্জয় বাসনা এখন
আবছায়া রাতের মশারি,
চারপাশের নিপুণ বাসরে কাঁদে বসন্তের গলা ধরে
বিনীতা কুসুম।
রাতভর ইন্দ্রজাল ছড়ানোর দায়টুকু মেনে
দুরন্ত প্রান্তরে অপেক্ষায় থাকি অদম্য এক,
ক্ষুধার জন্য কান্না বারণ,
ফুলপিপাসায় চাইতে বারণ,
রক্তলাল মিছিলের শিরোনামে দ্রোহকালের শ্লোগানকে আপ্রাণ ভালোবাসতে বারণ।